নীলফামারীর জলঢাকায় আজ সোমবার পালিত হয়েছে কালীগঞ্জ গণহত্যা দিবস। ১৯৭১ সালের এই দিনে মুক্তিযুদ্ধকালে জলঢাকার অদূরে উপজেলার গোলনা ইউনিয়নের কালীগঞ্জে পাকিস্তানি বাহিনী নারকীয় হত্যাযজ্ঞ চালায়
ওই দিন নারী-পুরুষ নির্বিশেষে প্রায় তিন শতাধিক লোকের একটি দল নিরাপদ আশ্রয়ের জন্য ভারতের উদ্দেশ্যে রওনা দেয়। ওই সংবাদ স্থানীয় দোসররা পাকবাহিনীকে জানিয়ে দেয়। এ সময় ডোমার থেকে আসা চারটি সামরিক কনভয় তাদের কালীগঞ্জে ঘেরাও করে প্রথমে তরুণদের একত্রিত করে রাইফেলের বাটের আঘাতে রাস্তার উত্তরপাশে এনে গর্তের পাশে দাঁড় করিয়ে মেশিনগানের গুলিতে নির্বিচারে হত্যা করে। পরে রাস্তার দক্ষিণ পাশে পানি উন্নয়ন বোর্ডের বর্তমান তিস্তা সেচ ক্যানেলে বয়স্ক পুরুষদের হত্যা করে। ওই সময় নারী ও শিশুদের চিৎকারে এলাকাটি প্রকম্পিত হয়ে ওঠে।
সেই দিনের ভয়াবহ চিত্রের বর্ণনা দিতে গিয়ে আবেগাপ্লুত হয়ে ওঠেন বেঁচে যাওয়া অমরকৃষ্ণ অধিকারী। তিনি বলেন, গুলিবিদ্ধ অনেকে দৌড়ে পালিয়ে গিয়ে প্রাণে রক্ষা পান। তাদের মধ্যে দিলীপ কুমার, বিনয়কৃষ্ণ অধিকারী এখনও সেই বিভীষিকাময় স্মৃতি নিয়ে বেঁচে আছেন ইতিহাসের সাক্ষী হয়ে। মৃতদের মধ্যে প্রায় ৭৮ জনের নাম পাওয়া যায়। যা বর্তমানে বধ্যভূমির গায়ে লেখা রয়েছে। এসব পরিবারের জীবিত সদস্যদের সঙ্গে সেইদিনের দুঃসহ স্মৃতি নিয়ে কথা বললে এখনও তাদের চোখ ছলছল করে উঠে। শহীদ পরিবারগুলি এখনও পায়নি রাষ্ট্রীয় কোনো সম্মান। যা তাদের স্বজন হারানো বেদনাকে আরও দ্বিগুণ করে দেয়।
জলঢাকার গণহত্যা দিবসে এখন শহীদ পরিবারগুলোর দাবি জীবদ্দশায় তাদেরকে রাষ্ট্রীয় সম্মান দেওয়া হোক। এদিকে, দিবসটি স্মরণে আজ সোমবার সকালে উপজেলা প্রশাসনের পক্ষ থেকে শহীদদের স্মৃতির প্রতি শ্রদ্ধা নিবেদন করেন উপজেলা নির্বাহী কর্মকর্তা হাসান হাবিব ও উপজেলা মুক্তিযোদ্ধা কমান্ডার হামিদুর রহমান।
Rabiul Islam Robi
B.S.S Hons. Political Science
facebook.com/rabiul.robi.5891Cell: 01682798330
Pls Join Us:
কোনটে বাহে জাগো
www.facebook.com/kontebahejago
নীলফামারীর
জলঢাকায় আজ সোমবার পালিত হয়েছে কালীগঞ্জ গণহত্যা দিবস। ১৯৭১ সালের এই
দিনে মুক্তিযুদ্ধকালে জলঢাকার অদূরে উপজেলার গোলনা ইউনিয়নের কালীগঞ্জে
পাকিস্তানি বাহিনী নারকীয় হত্যাযজ্ঞ চালায়।
ওই দিন নারী-পুরুষ নির্বিশেষে প্রায় তিন শতাধিক লোকের একটি দল নিরাপদ আশ্রয়ের জন্য ভারতের উদ্দেশ্যে রওনা দেয়। ওই সংবাদ স্থানীয় দোসররা পাকবাহিনীকে জানিয়ে দেয়। এ সময় ডোমার থেকে আসা চারটি সামরিক কনভয় তাদের কালীগঞ্জে ঘেরাও করে প্রথমে তরুণদের একত্রিত করে রাইফেলের বাটের আঘাতে রাস্তার উত্তরপাশে এনে গর্তের পাশে দাঁড় করিয়ে মেশিনগানের গুলিতে নির্বিচারে হত্যা করে। পরে রাস্তার দক্ষিণ পাশে পানি উন্নয়ন বোর্ডের বর্তমান তিস্তা সেচ ক্যানেলে বয়স্ক পুরুষদের হত্যা করে। ওই সময় নারী ও শিশুদের চিৎকারে এলাকাটি প্রকম্পিত হয়ে ওঠে।
সেই দিনের ভয়াবহ চিত্রের বর্ণনা দিতে গিয়ে আবেগাপ্লুত হয়ে ওঠেন বেঁচে যাওয়া অমরকৃষ্ণ অধিকারী। তিনি বলেন, গুলিবিদ্ধ অনেকে দৌড়ে পালিয়ে গিয়ে প্রাণে রক্ষা পান। তাদের মধ্যে দিলীপ কুমার, বিনয়কৃষ্ণ অধিকারী এখনও সেই বিভীষিকাময় স্মৃতি নিয়ে বেঁচে আছেন ইতিহাসের সাক্ষী হয়ে। মৃতদের মধ্যে প্রায় ৭৮ জনের নাম পাওয়া যায়। যা বর্তমানে বধ্যভূমির গায়ে লেখা রয়েছে। এসব পরিবারের জীবিত সদস্যদের সঙ্গে সেইদিনের দুঃসহ স্মৃতি নিয়ে কথা বললে এখনও তাদের চোখ ছলছল করে উঠে। শহীদ পরিবারগুলি এখনও পায়নি রাষ্ট্রীয় কোনো সম্মান। যা তাদের স্বজন হারানো বেদনাকে আরও দ্বিগুণ করে দেয়।
জলঢাকার গণহত্যা দিবসে এখন শহীদ পরিবারগুলোর দাবি জীবদ্দশায় তাদেরকে রাষ্ট্রীয় সম্মান দেওয়া হোক। এদিকে, দিবসটি স্মরণে আজ সোমবার সকালে উপজেলা প্রশাসনের পক্ষ থেকে শহীদদের স্মৃতির প্রতি শ্রদ্ধা নিবেদন করেন উপজেলা নির্বাহী কর্মকর্তা হাসান হাবিব ও উপজেলা মুক্তিযোদ্ধা কমান্ডার হামিদুর রহমান। - See more at: http://www.kalerkantho.com/online/country-news/2015/04/27/215344#sthash.eYpRYv3Y.9qWPDlAO.dpuf
ওই দিন নারী-পুরুষ নির্বিশেষে প্রায় তিন শতাধিক লোকের একটি দল নিরাপদ আশ্রয়ের জন্য ভারতের উদ্দেশ্যে রওনা দেয়। ওই সংবাদ স্থানীয় দোসররা পাকবাহিনীকে জানিয়ে দেয়। এ সময় ডোমার থেকে আসা চারটি সামরিক কনভয় তাদের কালীগঞ্জে ঘেরাও করে প্রথমে তরুণদের একত্রিত করে রাইফেলের বাটের আঘাতে রাস্তার উত্তরপাশে এনে গর্তের পাশে দাঁড় করিয়ে মেশিনগানের গুলিতে নির্বিচারে হত্যা করে। পরে রাস্তার দক্ষিণ পাশে পানি উন্নয়ন বোর্ডের বর্তমান তিস্তা সেচ ক্যানেলে বয়স্ক পুরুষদের হত্যা করে। ওই সময় নারী ও শিশুদের চিৎকারে এলাকাটি প্রকম্পিত হয়ে ওঠে।
সেই দিনের ভয়াবহ চিত্রের বর্ণনা দিতে গিয়ে আবেগাপ্লুত হয়ে ওঠেন বেঁচে যাওয়া অমরকৃষ্ণ অধিকারী। তিনি বলেন, গুলিবিদ্ধ অনেকে দৌড়ে পালিয়ে গিয়ে প্রাণে রক্ষা পান। তাদের মধ্যে দিলীপ কুমার, বিনয়কৃষ্ণ অধিকারী এখনও সেই বিভীষিকাময় স্মৃতি নিয়ে বেঁচে আছেন ইতিহাসের সাক্ষী হয়ে। মৃতদের মধ্যে প্রায় ৭৮ জনের নাম পাওয়া যায়। যা বর্তমানে বধ্যভূমির গায়ে লেখা রয়েছে। এসব পরিবারের জীবিত সদস্যদের সঙ্গে সেইদিনের দুঃসহ স্মৃতি নিয়ে কথা বললে এখনও তাদের চোখ ছলছল করে উঠে। শহীদ পরিবারগুলি এখনও পায়নি রাষ্ট্রীয় কোনো সম্মান। যা তাদের স্বজন হারানো বেদনাকে আরও দ্বিগুণ করে দেয়।
জলঢাকার গণহত্যা দিবসে এখন শহীদ পরিবারগুলোর দাবি জীবদ্দশায় তাদেরকে রাষ্ট্রীয় সম্মান দেওয়া হোক। এদিকে, দিবসটি স্মরণে আজ সোমবার সকালে উপজেলা প্রশাসনের পক্ষ থেকে শহীদদের স্মৃতির প্রতি শ্রদ্ধা নিবেদন করেন উপজেলা নির্বাহী কর্মকর্তা হাসান হাবিব ও উপজেলা মুক্তিযোদ্ধা কমান্ডার হামিদুর রহমান। - See more at: http://www.kalerkantho.com/online/country-news/2015/04/27/215344#sthash.eYpRYv3Y.9qWPDlAO.dpuf
নীলফামারীর
জলঢাকায় আজ সোমবার পালিত হয়েছে কালীগঞ্জ গণহত্যা দিবস। ১৯৭১ সালের এই
দিনে মুক্তিযুদ্ধকালে জলঢাকার অদূরে উপজেলার গোলনা ইউনিয়নের কালীগঞ্জে
পাকিস্তানি বাহিনী নারকীয় হত্যাযজ্ঞ চালায়।
ওই দিন নারী-পুরুষ নির্বিশেষে প্রায় তিন শতাধিক লোকের একটি দল নিরাপদ আশ্রয়ের জন্য ভারতের উদ্দেশ্যে রওনা দেয়। ওই সংবাদ স্থানীয় দোসররা পাকবাহিনীকে জানিয়ে দেয়। এ সময় ডোমার থেকে আসা চারটি সামরিক কনভয় তাদের কালীগঞ্জে ঘেরাও করে প্রথমে তরুণদের একত্রিত করে রাইফেলের বাটের আঘাতে রাস্তার উত্তরপাশে এনে গর্তের পাশে দাঁড় করিয়ে মেশিনগানের গুলিতে নির্বিচারে হত্যা করে। পরে রাস্তার দক্ষিণ পাশে পানি উন্নয়ন বোর্ডের বর্তমান তিস্তা সেচ ক্যানেলে বয়স্ক পুরুষদের হত্যা করে। ওই সময় নারী ও শিশুদের চিৎকারে এলাকাটি প্রকম্পিত হয়ে ওঠে।
সেই দিনের ভয়াবহ চিত্রের বর্ণনা দিতে গিয়ে আবেগাপ্লুত হয়ে ওঠেন বেঁচে যাওয়া অমরকৃষ্ণ অধিকারী। তিনি বলেন, গুলিবিদ্ধ অনেকে দৌড়ে পালিয়ে গিয়ে প্রাণে রক্ষা পান। তাদের মধ্যে দিলীপ কুমার, বিনয়কৃষ্ণ অধিকারী এখনও সেই বিভীষিকাময় স্মৃতি নিয়ে বেঁচে আছেন ইতিহাসের সাক্ষী হয়ে। মৃতদের মধ্যে প্রায় ৭৮ জনের নাম পাওয়া যায়। যা বর্তমানে বধ্যভূমির গায়ে লেখা রয়েছে। এসব পরিবারের জীবিত সদস্যদের সঙ্গে সেইদিনের দুঃসহ স্মৃতি নিয়ে কথা বললে এখনও তাদের চোখ ছলছল করে উঠে। শহীদ পরিবারগুলি এখনও পায়নি রাষ্ট্রীয় কোনো সম্মান। যা তাদের স্বজন হারানো বেদনাকে আরও দ্বিগুণ করে দেয়।
জলঢাকার গণহত্যা দিবসে এখন শহীদ পরিবারগুলোর দাবি জীবদ্দশায় তাদেরকে রাষ্ট্রীয় সম্মান দেওয়া হোক। এদিকে, দিবসটি স্মরণে আজ সোমবার সকালে উপজেলা প্রশাসনের পক্ষ থেকে শহীদদের স্মৃতির প্রতি শ্রদ্ধা নিবেদন করেন উপজেলা নির্বাহী কর্মকর্তা হাসান হাবিব ও উপজেলা মুক্তিযোদ্ধা কমান্ডার হামিদুর রহমান। - See more at: http://www.kalerkantho.com/online/country-news/2015/04/27/215344#sthash.eYpRYv3Y.9qWPDlAO.dpuf
ওই দিন নারী-পুরুষ নির্বিশেষে প্রায় তিন শতাধিক লোকের একটি দল নিরাপদ আশ্রয়ের জন্য ভারতের উদ্দেশ্যে রওনা দেয়। ওই সংবাদ স্থানীয় দোসররা পাকবাহিনীকে জানিয়ে দেয়। এ সময় ডোমার থেকে আসা চারটি সামরিক কনভয় তাদের কালীগঞ্জে ঘেরাও করে প্রথমে তরুণদের একত্রিত করে রাইফেলের বাটের আঘাতে রাস্তার উত্তরপাশে এনে গর্তের পাশে দাঁড় করিয়ে মেশিনগানের গুলিতে নির্বিচারে হত্যা করে। পরে রাস্তার দক্ষিণ পাশে পানি উন্নয়ন বোর্ডের বর্তমান তিস্তা সেচ ক্যানেলে বয়স্ক পুরুষদের হত্যা করে। ওই সময় নারী ও শিশুদের চিৎকারে এলাকাটি প্রকম্পিত হয়ে ওঠে।
সেই দিনের ভয়াবহ চিত্রের বর্ণনা দিতে গিয়ে আবেগাপ্লুত হয়ে ওঠেন বেঁচে যাওয়া অমরকৃষ্ণ অধিকারী। তিনি বলেন, গুলিবিদ্ধ অনেকে দৌড়ে পালিয়ে গিয়ে প্রাণে রক্ষা পান। তাদের মধ্যে দিলীপ কুমার, বিনয়কৃষ্ণ অধিকারী এখনও সেই বিভীষিকাময় স্মৃতি নিয়ে বেঁচে আছেন ইতিহাসের সাক্ষী হয়ে। মৃতদের মধ্যে প্রায় ৭৮ জনের নাম পাওয়া যায়। যা বর্তমানে বধ্যভূমির গায়ে লেখা রয়েছে। এসব পরিবারের জীবিত সদস্যদের সঙ্গে সেইদিনের দুঃসহ স্মৃতি নিয়ে কথা বললে এখনও তাদের চোখ ছলছল করে উঠে। শহীদ পরিবারগুলি এখনও পায়নি রাষ্ট্রীয় কোনো সম্মান। যা তাদের স্বজন হারানো বেদনাকে আরও দ্বিগুণ করে দেয়।
জলঢাকার গণহত্যা দিবসে এখন শহীদ পরিবারগুলোর দাবি জীবদ্দশায় তাদেরকে রাষ্ট্রীয় সম্মান দেওয়া হোক। এদিকে, দিবসটি স্মরণে আজ সোমবার সকালে উপজেলা প্রশাসনের পক্ষ থেকে শহীদদের স্মৃতির প্রতি শ্রদ্ধা নিবেদন করেন উপজেলা নির্বাহী কর্মকর্তা হাসান হাবিব ও উপজেলা মুক্তিযোদ্ধা কমান্ডার হামিদুর রহমান। - See more at: http://www.kalerkantho.com/online/country-news/2015/04/27/215344#sthash.eYpRYv3Y.9qWPDlAO.dpuf
কোন মন্তব্য নেই:
একটি মন্তব্য পোস্ট করুন