কালবৈশাখীতে মঙ্গলবার মধ্যরাতে রংপুর
মহানগরীসহ তিন উপজেলার ২০
টি গ্রামের অন্তত
৭০০ বাড়িঘর লন্ডভন্ড হয়েছে। উঠতি
ইরি,বোরো ধান,
ভূট্রা, আমবাগান, ছাড়াও
২০ হাজারেও বেশী
গাছপালা নষ্ট হয়ে
গেছে।
আকস্মিক কালবৈশাখীতে চাপাপড়ে, দৌড়ঝাপ
করতে গিয়ে আহত
হয়েছে প্রায় ৬০
জন বিভিন্ন বয়সি
মানুষ।
Cell: 01682798330
রংপুর
আবহাওয়া অফিসের সহকারী
পরিচালক মোহাম্মদ আলী
জানান, মঙ্গলবার দিবাগত
রাত সাড়ে ১২
টায কালবৈশাখী আঘাত
হানে।স্থায়িত্ব
ছিল প্রায় আধাঘন্টা। ঝড়টির
কারনে নগরী দক্ষিণ
এলাকাসহ মিঠাপুকুর, পীরগঞ্জ, বদরগঞ্জ উপজেলায় এতে
বিপুল পরিমান ক্ষয়ক্ষতি হয়েছে।
জেলা
উপজেলা প্রশাসন, স্থানীয় ইউপি
চেয়ারম্যান, মেম্বার ও
প্রত্যক্ষদর্শীরা
জানান, মঙ্গলবার ঝড়
মিঠাপুকুর উপজেলার ইমাদপুর, মির্জাপুর, কাফ্রিখাল, বড়
হযরতপুর, লতিবপুর, পায়রাবন্দ, মিলনপুর, শাল্টিগোপালপুর, বড়বালা,
দুরগাপুর, রানিপুকুর, খোড়াগাছসহ প্রত্যেকটি ইউনিয়নেই আঘাত
হানে। ঝড়ে ৫
শতাধিক বাড়ি ঘর
লন্ডভন্ড হয়েছে। উপজেলার অধিকাংশ এলাকার
ভুট্রাক্ষেত সম্পুর্ন নষ্ট
হয়ে গেছে। উঠতি
আমন ধানের আবাদ
নেতিয়ে পড়েছে। শীষ
ঝড়ে গেছে। হাড়িভাংগা আমের
রাজধানী খোড়াগাছ ইউনিয়ন
লন্ডভন্ড হয়ে গেছে।
অধিকাংশ আমের গুটি
সব ঝড়ে পড়েছে।
গাছের ডালপালা ভেংগে
গেছে। গাছ উপড়ে
পড়েছে। হাড়িভাংগা আমের
সম্প্রসারক আব্দুস সালাম
সরকার জানান, ঝড়ে
এই এলাকার আমবাগান গুলোর
২৫ ভাগ ক্ষতি
হয়েছে। যা আম
চাষিদের জন্য বড়
ধরনের আঘাত।
কাফ্রিখাল ইউনিয়নের চেয়ারম্যান হাফিজুর রহমান
হাফিজ জানান, এই
ইউনিয়নের এনায়েতপুর, আলীপুর,
জাবেদপুর, মুরীরপুর, বুজুরক
মহাদেবপুর গ্রাম সবচাইতে বেশী
ক্ষতিগ্রস্ত হয়েছে। এসব
এলাকায় বাড়িঘর তছনছ
হয়ে গেছে। গাছগাছালি উপড়ে
পড়ে বিদ্যুতের লাইন
বিচ্ছিন্ন হয়ে গেছে।
বড়
বালা ইউনিয়ন পরিষদের চেয়ারম্যান জানান,
ইউনিয়নের ছড়ান, কেশবপুর, খিয়ারপাড়া, একডালা
গ্রাম ঝড়ে লন্ডভন্ড হয়ে
গেছে।
মিঠাপুকুর ইউএনও
হারুনার রশিদ নয়া
দিগন্তকে জানান, মির্জাপুর, কাফ্রিখাল ইউনিয়ন
পরিদর্শন করেছি। দুই
শতাধিক বাড়িঘর নষ্ট
হয়েছে। আমের ক্ষয়ক্ষতি হয়েছে।
বিশেষ করে ভুট্রার আবাদ
ক্ষতিগ্রস্ত হয়েছে বেশী।
তিনি জানান, ক্ষতিগ্রস্তদের তালিকা
তৈরি করা হচ্ছে।
তাদের সরকারীভাবে সহায়তা
করা হবে।
বদরগঞ্জের কুতুবপুর ইউনিয়নের চেয়ারম্যান শাহ
মোহাম্মদ মশিয়ার রহমান
চাপুল জানান, ঝড়ে
কুতুবপুর ইউনিয়নের নাগেরহাট, গাছুয়াপাড়া, নয়াপাড়া, দালালপাড়া, সোনারপাড়া, সিঙ
পাড়া, উত্তরপাড়া, টাংগলপাড়া, জুম্মাপাড়া এলাকার
শতাধিক বাড়িঘড় লন্ডভন্ড হয়েছে।
আমের বাগান, ইরি,
বোরো ধান এবং
ভূট্রার আবাদের ব্যপক
ক্ষতি হয়েছে। জাতীয়
পার্টির নেতা ইঞ্জিনিয়ার সাইফুল
ইসলাম শাহাদত ক্ষতিগ্রস্ত এলাকা
পরিদর্শন করে ত্রান
সামগ্রী বিতরণ করেন।
লোহানীপাড়া ইউনিয়নের চেয়ারম্যান ইলিয়াস
আহমেদ জানান, এই
ইউনিয়নের কচুয়া, মাদাইখামার, মন্লপাড়া, সাহেবগঞ্জ, তেলিপাড়া, গাছুয়াপাড়া, মসলমারি, বাতাসন,
মনিরেরপাড়া গ্রামের শতাধিক
বাড়িঘর নষ্ট হয়েছে।
এদিকে ঝড় আঘাত হানে পীরগঞ্জ কুমেদপুর, রামনাথপুর , টুকুরিয়া ইউনিয়নে। রামনাথপুর ইউনিয়নের চেয়ারম্যান জাহাঙগীর আলম জানান, ইউনিয়নের এমাজিয়া বালিকা দাখিল মাদরাসা, খেজমতপুর উচ্চ বিদ্যালয়ে অবকাঠামোর সমস্ত টিন ঝড়ে উড়ে গেছে। কুমেদপুর ইউনিয়নের রসুলপুর গ্রামের বাসিন্দা শরিফুল ইসলাম জানান, ঝড়ে পুরো রসুলপুর গ্রাম লন্ডভন্ড হয়ে গেছে। গাছ গাছালি উপড়ে পড়েছে। ইরিবোরা ধান সব মাটিতে মিশে গেছে। এছাড়া এখনকার ৫০ টির বেশী বাড়িঘর পড়ে গেছে। বিপুল পরিমান গাছপাড়া উপড়ে গেছে।
এছাড়াও রংপুর মহানগরীর ভুরারঘাট, সিলিমপুর, নাজিরদিগর, বনগ্রাম, পানবাড়ি, হোসেননগরসহ বিভিন্ন এলাকায় কালবৈশাখীতে গাছগাছালি উপড়ে পড়ে গেছে। বাড়িঘর ক্ষয়ক্ষতি হয়েছে।
এদিকে ঝড় আঘাত হানে পীরগঞ্জ কুমেদপুর, রামনাথপুর , টুকুরিয়া ইউনিয়নে। রামনাথপুর ইউনিয়নের চেয়ারম্যান জাহাঙগীর আলম জানান, ইউনিয়নের এমাজিয়া বালিকা দাখিল মাদরাসা, খেজমতপুর উচ্চ বিদ্যালয়ে অবকাঠামোর সমস্ত টিন ঝড়ে উড়ে গেছে। কুমেদপুর ইউনিয়নের রসুলপুর গ্রামের বাসিন্দা শরিফুল ইসলাম জানান, ঝড়ে পুরো রসুলপুর গ্রাম লন্ডভন্ড হয়ে গেছে। গাছ গাছালি উপড়ে পড়েছে। ইরিবোরা ধান সব মাটিতে মিশে গেছে। এছাড়া এখনকার ৫০ টির বেশী বাড়িঘর পড়ে গেছে। বিপুল পরিমান গাছপাড়া উপড়ে গেছে।
এছাড়াও রংপুর মহানগরীর ভুরারঘাট, সিলিমপুর, নাজিরদিগর, বনগ্রাম, পানবাড়ি, হোসেননগরসহ বিভিন্ন এলাকায় কালবৈশাখীতে গাছগাছালি উপড়ে পড়ে গেছে। বাড়িঘর ক্ষয়ক্ষতি হয়েছে।
রংপুর
মেডিক্যাল কলেজ হাসপাতাল এবং
মিঠাপুকুর, পীরগঞ্জ, বদরগঞ্জ স্থাস্থ্য কমপ্লেক্স সূত্রে
জানা গেছে, ঝড়ের
সময় ঘরের স্থাপনা ভেংগে
গাছ পড়ে ৬০
জনের মতো আহত
হয়েছে। তাদের প্রাথমিক চিকিৎসা দেয়া
হয়েছে। এদের মধ্যে
গুরুতর আহত আছেন
অন্তত ৫ জন।
তাদের মধ্যে শিশু,
বৃদ্ধ রয়েছেন।
এদিকে
ঝড়ের কারনে বদরগঞ্জ মিঠাপুকুর উপজেলায় বিদ্যুত যোগাযোগ বিচ্ছিন্ন রয়েছে।
রংপুর-২ পল্লী
বিদ্যুত সমিতির জিএম
দেওয়ান তফাজ্জল জানান,
ঝড়ে গাছপালা উপড়ে
বিদ্যুতের তার এবং
খুটিতে পড়ায় এবং
বিভিন্ন জায়গায় খুটি
ক্ষতিগ্রস্ত হওয়ায় বিদ্যুত সংযোগ
সাময়িকভাবে বন্ধ রাখা
হয়েছে। তবে দ্রুত
লাইন চালু করার
জন্য মাঠে কাজ
চলছে।
এদিকে
রংপুর ঢাকা মহাসড়কে কিছু
গাছ উপড়ে পড়ায়
কিছুক্ষণ এই রুটে
যানবাহন চলাচল বন্ধ
ছিল। হাইওয়ে পুলিশের উপ-পরিদর্শক নাজমুল
আলম জানান, তবে
পুলিশ স্থানীয়দের সহযোগিতায় ওই
গাছ সরিয়ে ফেলেছে।
রংপুর
ডিসি ফরীদ আহাম্মদ জানান,
ঝড়ে ক্ষতিগ্রস্তদের তালিকা
তৈরি করার জণ্য
নির্দেশ দেয়া হয়েছে।
তালিকা অনুযায়ী তাদের
সহযোগিতা করা হবে।
তিনি সরকারী সহযাগিতার পাশাপাশি বেসরকারীভাবে সবাইকে
ক্ষতিগ্রস্তদের
পাশে দাড়ানোর আহবান
জানান।
সূত্রঃ দৈনিক নয়া দিগন্ত- ২২-০৪-২০১৫ ইং।
Pls Join Us:
কোনটে বাহে জাগো
www.facebook.com/kontebahejago
Rabiul Islam Robi
B.S.S Hons. Political Science
facebook.com/rabiul.robi.5891Cell: 01682798330
কালবৈশাখীতে
মঙ্গলবার মধ্যরাতে রংপুর মহানগরীসহ তিন উপজেলার ২০ টি গ্রামের অন্তত ৭০০
বাড়িঘর লন্ডভন্ড হয়েছে। উঠতি ইরি,বোরো ধান, ভূট্রা, আমবাগান, ছাড়াও ২০
হাজারেও বেশী গাছপালা নষ্ট হয়ে গেছে। আকস্মিক কালবৈশাখীতে চাপাপড়ে, দৌড়ঝাপ
করতে গিয়ে আহত হয়েছে প্রায় ৬০ জন বিভিন্ন বয়সি মানুষ।
রংপুর আবহাওয়া অফিসের সহকারী পরিচালক মোহাম্মদ আলী জানান, মঙ্গলবার দিবাগত রাত সাড়ে ১২ টায কালবৈশাখী আঘাত হানে।স্থায়িত্ব ছিল প্রায় আধাঘন্টা। ঝড়টির কারনে নগরী দক্ষিণ এলাকাসহ মিঠাপুকুর, পীরগঞ্জ, বদরগঞ্জ উপজেলায় এতে বিপুল পরিমান ক্ষয়ক্ষতি হয়েছে।
জেলা উপজেলা প্রশাসন, স্থানীয় ইউপি চেয়ারম্যান, মেম্বার ও প্রত্যক্ষদর্শীরা জানান, মঙ্গলবার ঝড় মিঠাপুকুর উপজেলার ইমাদপুর, মির্জাপুর, কাফ্রিখাল, বড় হযরতপুর, লতিবপুর, পায়রাবন্দ, মিলনপুর, শাল্টিগোপালপুর, বড়বালা, দুরগাপুর, রানিপুকুর, খোড়াগাছসহ প্রত্যেকটি ইউনিয়নেই আঘাত হানে। ঝড়ে ৫ শতাধিক বাড়ি ঘর লন্ডভন্ড হয়েছে। উপজেলার অধিকাংশ এলাকার ভুট্রাক্ষেত সম্পুর্ন নষ্ট হয়ে গেছে। উঠতি আমন ধানের আবাদ নেতিয়ে পড়েছে। শীষ ঝড়ে গেছে। হাড়িভাংগা আমের রাজধানী খোড়াগাছ ইউনিয়ন লন্ডভন্ড হয়ে গেছে। অধিকাংশ আমের গুটি সব ঝড়ে পড়েছে। গাছের ডালপালা ভেংগে গেছে। গাছ উপড়ে পড়েছে। হাড়িভাংগা আমের সম্প্রসারক আব্দুস সালাম সরকার জানান, ঝড়ে এই এলাকার আমবাগান গুলোর ২৫ ভাগ ক্ষতি হয়েছে। যা আম চাষিদের জন্য বড় ধরনের আঘাত।
কাফ্রিখাল ইউনিয়নের চেয়ারম্যান হাফিজুর রহমান হাফিজ জানান, এই ইউনিয়নের এনায়েতপুর, আলীপুর, জাবেদপুর, মুরীরপুর, বুজুরক মহাদেবপুর গ্রাম সবচাইতে বেশী ক্ষতিগ্রস্ত হয়েছে। এসব এলাকায় বাড়িঘর তছনছ হয়ে গেছে। গাছগাছালি উপড়ে পড়ে বিদ্যুতের লাইন বিচ্ছিন্ন হয়ে গেছে।
বড় বালা ইউনিয়ন পরিষদের চেয়ারম্যান জানান, ইউনিয়নের ছড়ান, কেশবপুর, খিয়ারপাড়া, একডালা গ্রাম ঝড়ে লন্ডভন্ড হয়ে গেছে।
মিঠাপুকুর ইউএনও হারুনার রশিদ নয়া দিগন্তকে জানান, মির্জাপুর, কাফ্রিখাল ইউনিয়ন পরিদর্শন করেছি। দুই শতাধিক বাড়িঘর নষ্ট হয়েছে। আমের ক্ষয়ক্ষতি হয়েছে। বিশেষ করে ভুট্রার আবাদ ক্ষতিগ্রস্ত হয়েছে বেশী। তিনি জানান, ক্ষতিগ্রস্তদের তালিকা তৈরি করা হচ্ছে। তাদের সরকারীভাবে সহায়তা করা হবে।
বদরগঞ্জের কুতুবপুর ইউনিয়নের চেয়ারম্যান শাহ মোহাম্মদ মশিয়ার রহমান চাপুল জানান, ঝড়ে কুতুবপুর ইউনিয়নের নাগেরহাট, গাছুয়াপাড়া, নয়াপাড়া, দালালপাড়া, সোনারপাড়া, সিঙ পাড়া, উত্তরপাড়া, টাংগলপাড়া, জুম্মাপাড়া এলাকার শতাধিক বাড়িঘড় লন্ডভন্ড হয়েছে। আমের বাগান, ইরি, বোরো ধান এবং ভূট্রার আবাদের ব্যপক ক্ষতি হয়েছে। জাতীয় পার্টির নেতা ইঞ্জিনিয়ার সাইফুল ইসলাম শাহাদত ক্ষতিগ্রস্ত এলাকা পরিদর্শন করে ত্রান সামগ্রী বিতরণ করেন।
লোহানীপাড়া ইউনিয়নের চেয়ারম্যান ইলিয়াস আহমেদ জানান, এই ইউনিয়নের কচুয়া, মাদাইখামার, মন্লপাড়া, সাহেবগঞ্জ, তেলিপাড়া, গাছুয়াপাড়া, মসলমারি, বাতাসন, মনিরেরপাড়া গ্রামের শতাধিক বাড়িঘর নষ্ট হয়েছে।
এদিকে ঝড় আঘাত হানে পীরগঞ্জ কুমেদপুর, রামনাথপুর , টুকুরিয়া ইউনিয়নে। রামনাথপুর ইউনিয়নের চেয়ারম্যান জাহাঙগীর আলম জানান, ইউনিয়নের এমাজিয়া বালিকা দাখিল মাদরাসা, খেজমতপুর উচ্চ বিদ্যালয়ে অবকাঠামোর সমস্ত টিন ঝড়ে উড়ে গেছে। কুমেদপুর ইউনিয়নের রসুলপুর গ্রামের বাসিন্দা শরিফুল ইসলাম জানান, ঝড়ে পুরো রসুলপুর গ্রাম লন্ডভন্ড হয়ে গেছে। গাছ গাছালি উপড়ে পড়েছে। ইরিবোরা ধান সব মাটিতে মিশে গেছে। এছাড়া এখনকার ৫০ টির বেশী বাড়িঘর পড়ে গেছে। বিপুল পরিমান গাছপাড়া উপড়ে গেছে।
এছাড়াও রংপুর মহানগরীর ভুরারঘাট, সিলিমপুর, নাজিরদিগর, বনগ্রাম, পানবাড়ি, হোসেননগরসহ বিভিন্ন এলাকায় কালবৈশাখীতে গাছগাছালি উপড়ে পড়ে গেছে। বাড়িঘর ক্ষয়ক্ষতি হয়েছে।
রংপুর মেডিক্যাল কলেজ হাসপাতাল এবং মিঠাপুকুর, পীরগঞ্জ, বদরগঞ্জ স্থাস্থ্য কমপ্লেক্স সূত্রে জানা গেছে, ঝড়ের সময় ঘরের স্থাপনা ভেংগে গাছ পড়ে ৬০ জনের মতো আহত হয়েছে। তাদের প্রাথমিক চিকিৎসা দেয়া হয়েছে। এদের মধ্যে গুরুতর আহত আছেন অন্তত ৫ জন। তাদের মধ্যে শিশু, বৃদ্ধ রয়েছেন।
এদিকে ঝড়ের কারনে বদরগঞ্জ মিঠাপুকুর উপজেলায় বিদ্যুত যোগাযোগ বিচ্ছিন্ন রয়েছে। রংপুর-২ পল্লী বিদ্যুত সমিতির জিএম দেওয়ান তফাজ্জল জানান, ঝড়ে গাছপালা উপড়ে বিদ্যুতের তার এবং খুটিতে পড়ায় এবং বিভিন্ন জায়গায় খুটি ক্ষতিগ্রস্ত হওয়ায় বিদ্যুত সংযোগ সাময়িকভাবে বন্ধ রাখা হয়েছে। তবে দ্রুত লাইন চালু করার জন্য মাঠে কাজ চলছে।
এদিকে রংপুর ঢাকা মহাসড়কে কিছু গাছ উপড়ে পড়ায় কিছুক্ষণ এই রুটে যানবাহন চলাচল বন্ধ ছিল। হাইওয়ে পুলিশের উপ-পরিদর্শক নাজমুল আলম জানান, তবে পুলিশ স্থানীয়দের সহযোগিতায় ওই গাছ সরিয়ে ফেলেছে।
রংপুর ডিসি ফরীদ আহাম্মদ জানান, ঝড়ে ক্ষতিগ্রস্তদের তালিকা তৈরি করার জণ্য নির্দেশ দেয়া হয়েছে। তালিকা অনুযায়ী তাদের সহযোগিতা করা হবে। তিনি সরকারী সহযাগিতার পাশাপাশি বেসরকারীভাবে সবাইকে ক্ষতিগ্রস্তদের পাশে দাড়ানোর আহবান জানান।
- See more at: http://dev.dailynayadiganta.com/detail/news/17272#sthash.tRB617eU.dpuf
রংপুর আবহাওয়া অফিসের সহকারী পরিচালক মোহাম্মদ আলী জানান, মঙ্গলবার দিবাগত রাত সাড়ে ১২ টায কালবৈশাখী আঘাত হানে।স্থায়িত্ব ছিল প্রায় আধাঘন্টা। ঝড়টির কারনে নগরী দক্ষিণ এলাকাসহ মিঠাপুকুর, পীরগঞ্জ, বদরগঞ্জ উপজেলায় এতে বিপুল পরিমান ক্ষয়ক্ষতি হয়েছে।
জেলা উপজেলা প্রশাসন, স্থানীয় ইউপি চেয়ারম্যান, মেম্বার ও প্রত্যক্ষদর্শীরা জানান, মঙ্গলবার ঝড় মিঠাপুকুর উপজেলার ইমাদপুর, মির্জাপুর, কাফ্রিখাল, বড় হযরতপুর, লতিবপুর, পায়রাবন্দ, মিলনপুর, শাল্টিগোপালপুর, বড়বালা, দুরগাপুর, রানিপুকুর, খোড়াগাছসহ প্রত্যেকটি ইউনিয়নেই আঘাত হানে। ঝড়ে ৫ শতাধিক বাড়ি ঘর লন্ডভন্ড হয়েছে। উপজেলার অধিকাংশ এলাকার ভুট্রাক্ষেত সম্পুর্ন নষ্ট হয়ে গেছে। উঠতি আমন ধানের আবাদ নেতিয়ে পড়েছে। শীষ ঝড়ে গেছে। হাড়িভাংগা আমের রাজধানী খোড়াগাছ ইউনিয়ন লন্ডভন্ড হয়ে গেছে। অধিকাংশ আমের গুটি সব ঝড়ে পড়েছে। গাছের ডালপালা ভেংগে গেছে। গাছ উপড়ে পড়েছে। হাড়িভাংগা আমের সম্প্রসারক আব্দুস সালাম সরকার জানান, ঝড়ে এই এলাকার আমবাগান গুলোর ২৫ ভাগ ক্ষতি হয়েছে। যা আম চাষিদের জন্য বড় ধরনের আঘাত।
কাফ্রিখাল ইউনিয়নের চেয়ারম্যান হাফিজুর রহমান হাফিজ জানান, এই ইউনিয়নের এনায়েতপুর, আলীপুর, জাবেদপুর, মুরীরপুর, বুজুরক মহাদেবপুর গ্রাম সবচাইতে বেশী ক্ষতিগ্রস্ত হয়েছে। এসব এলাকায় বাড়িঘর তছনছ হয়ে গেছে। গাছগাছালি উপড়ে পড়ে বিদ্যুতের লাইন বিচ্ছিন্ন হয়ে গেছে।
বড় বালা ইউনিয়ন পরিষদের চেয়ারম্যান জানান, ইউনিয়নের ছড়ান, কেশবপুর, খিয়ারপাড়া, একডালা গ্রাম ঝড়ে লন্ডভন্ড হয়ে গেছে।
মিঠাপুকুর ইউএনও হারুনার রশিদ নয়া দিগন্তকে জানান, মির্জাপুর, কাফ্রিখাল ইউনিয়ন পরিদর্শন করেছি। দুই শতাধিক বাড়িঘর নষ্ট হয়েছে। আমের ক্ষয়ক্ষতি হয়েছে। বিশেষ করে ভুট্রার আবাদ ক্ষতিগ্রস্ত হয়েছে বেশী। তিনি জানান, ক্ষতিগ্রস্তদের তালিকা তৈরি করা হচ্ছে। তাদের সরকারীভাবে সহায়তা করা হবে।
বদরগঞ্জের কুতুবপুর ইউনিয়নের চেয়ারম্যান শাহ মোহাম্মদ মশিয়ার রহমান চাপুল জানান, ঝড়ে কুতুবপুর ইউনিয়নের নাগেরহাট, গাছুয়াপাড়া, নয়াপাড়া, দালালপাড়া, সোনারপাড়া, সিঙ পাড়া, উত্তরপাড়া, টাংগলপাড়া, জুম্মাপাড়া এলাকার শতাধিক বাড়িঘড় লন্ডভন্ড হয়েছে। আমের বাগান, ইরি, বোরো ধান এবং ভূট্রার আবাদের ব্যপক ক্ষতি হয়েছে। জাতীয় পার্টির নেতা ইঞ্জিনিয়ার সাইফুল ইসলাম শাহাদত ক্ষতিগ্রস্ত এলাকা পরিদর্শন করে ত্রান সামগ্রী বিতরণ করেন।
লোহানীপাড়া ইউনিয়নের চেয়ারম্যান ইলিয়াস আহমেদ জানান, এই ইউনিয়নের কচুয়া, মাদাইখামার, মন্লপাড়া, সাহেবগঞ্জ, তেলিপাড়া, গাছুয়াপাড়া, মসলমারি, বাতাসন, মনিরেরপাড়া গ্রামের শতাধিক বাড়িঘর নষ্ট হয়েছে।
এদিকে ঝড় আঘাত হানে পীরগঞ্জ কুমেদপুর, রামনাথপুর , টুকুরিয়া ইউনিয়নে। রামনাথপুর ইউনিয়নের চেয়ারম্যান জাহাঙগীর আলম জানান, ইউনিয়নের এমাজিয়া বালিকা দাখিল মাদরাসা, খেজমতপুর উচ্চ বিদ্যালয়ে অবকাঠামোর সমস্ত টিন ঝড়ে উড়ে গেছে। কুমেদপুর ইউনিয়নের রসুলপুর গ্রামের বাসিন্দা শরিফুল ইসলাম জানান, ঝড়ে পুরো রসুলপুর গ্রাম লন্ডভন্ড হয়ে গেছে। গাছ গাছালি উপড়ে পড়েছে। ইরিবোরা ধান সব মাটিতে মিশে গেছে। এছাড়া এখনকার ৫০ টির বেশী বাড়িঘর পড়ে গেছে। বিপুল পরিমান গাছপাড়া উপড়ে গেছে।
এছাড়াও রংপুর মহানগরীর ভুরারঘাট, সিলিমপুর, নাজিরদিগর, বনগ্রাম, পানবাড়ি, হোসেননগরসহ বিভিন্ন এলাকায় কালবৈশাখীতে গাছগাছালি উপড়ে পড়ে গেছে। বাড়িঘর ক্ষয়ক্ষতি হয়েছে।
রংপুর মেডিক্যাল কলেজ হাসপাতাল এবং মিঠাপুকুর, পীরগঞ্জ, বদরগঞ্জ স্থাস্থ্য কমপ্লেক্স সূত্রে জানা গেছে, ঝড়ের সময় ঘরের স্থাপনা ভেংগে গাছ পড়ে ৬০ জনের মতো আহত হয়েছে। তাদের প্রাথমিক চিকিৎসা দেয়া হয়েছে। এদের মধ্যে গুরুতর আহত আছেন অন্তত ৫ জন। তাদের মধ্যে শিশু, বৃদ্ধ রয়েছেন।
এদিকে ঝড়ের কারনে বদরগঞ্জ মিঠাপুকুর উপজেলায় বিদ্যুত যোগাযোগ বিচ্ছিন্ন রয়েছে। রংপুর-২ পল্লী বিদ্যুত সমিতির জিএম দেওয়ান তফাজ্জল জানান, ঝড়ে গাছপালা উপড়ে বিদ্যুতের তার এবং খুটিতে পড়ায় এবং বিভিন্ন জায়গায় খুটি ক্ষতিগ্রস্ত হওয়ায় বিদ্যুত সংযোগ সাময়িকভাবে বন্ধ রাখা হয়েছে। তবে দ্রুত লাইন চালু করার জন্য মাঠে কাজ চলছে।
এদিকে রংপুর ঢাকা মহাসড়কে কিছু গাছ উপড়ে পড়ায় কিছুক্ষণ এই রুটে যানবাহন চলাচল বন্ধ ছিল। হাইওয়ে পুলিশের উপ-পরিদর্শক নাজমুল আলম জানান, তবে পুলিশ স্থানীয়দের সহযোগিতায় ওই গাছ সরিয়ে ফেলেছে।
রংপুর ডিসি ফরীদ আহাম্মদ জানান, ঝড়ে ক্ষতিগ্রস্তদের তালিকা তৈরি করার জণ্য নির্দেশ দেয়া হয়েছে। তালিকা অনুযায়ী তাদের সহযোগিতা করা হবে। তিনি সরকারী সহযাগিতার পাশাপাশি বেসরকারীভাবে সবাইকে ক্ষতিগ্রস্তদের পাশে দাড়ানোর আহবান জানান।
- See more at: http://dev.dailynayadiganta.com/detail/news/17272#sthash.tRB617eU.dpuf
কোন মন্তব্য নেই:
একটি মন্তব্য পোস্ট করুন