বৃহস্পতিবার, ৩০ এপ্রিল, ২০১৫

৮ নম্বরে বাংলাদেশ

দেখে নিন স্বাধীনতার পর বাংলাদেশের নোট গুলো কেমন ছিল





































বুধবার, ২৯ এপ্রিল, ২০১৫

তিরিশ বছর

 ...................................................................................................................................................

কি দেখার কথা কি দেখছি? কি শোনার কথা কি শুনছি?
কি ভাবার কথা কি ভাবছি? কি বলার কথা কি বলছি?
তিরিশ বছর পরেও আমি স্বাধীনতাটাকে খুঁজছি।।
স্বাধীনতা কি বৈশাখী মেলা, পান্তা ইলিশ খাওয়া?
স্বাধীনতা কি বটমূলে বসে বৈশাখী গান গাওয়া?
স্বাধীনতা কি বুদ্ধিজীবির বক্তৃতা সেমিনার?
স্বাধীনতা কি শহীদ বেড়িতে পুষ্পের সমাহার?
স্বাধীনতা কি গল্প নাটক উপন্যাস আর কবিতা?
স্বাধীনতা কি আজ বন্দী আনুষ্ঠানিকতা?
স্বাধীনতা কি ঢাকা শহরের আকাশচুম্বী বাড়ি?
স্বাধীনতা কি ফুটপাতে শোয়া গৃহহীন নর-নারী?
স্বাধীনতা কি হোটেলে হোটেলে গ্র্যান্ড ফ্যাশন শো?
স্বাধীনতা কি দুখিনী নারীর জড়-জীর্ণ বস্ত্র?
স্বাধীনতা কি গজিয়ে ওঠা অভিজাত পান্থশালা?
স্বাধীনতা কি অন্যের খোঁজে কিশোরী প্রমোদবালা?
স্বাধীনতা কি নিরীহ লোকের অকারণে প্রাণদন্ড?
স্বাধীনতা কি পানির ট্যাঙ্কে গলিত লাশের গন্ধ?
স্বাধীনতা কি হরতাল ডেকে জীবন করা স্তব্ধ?
স্বাধীনতা কি ক্ষমতা হরণে চলে বন্দুক যুদ্ধ?
স্বাধীনতা কি সন্ত্রাসী হাতে মারণাস্ত্রের গর্জন?
স্বাধীনতা কি অর্থের লোভে বিবেক বিসর্জন?
আজ নেই বর্গী, নেই ইংরেজ, নেই পাকিস্তানী হানাদার,
আজো তবু কেন আমার মনে শূণ্যতা আর হাহাকার?
আজো তবু কি লাখো শহীদের রক্ত যাবে বৃথা?
আজো তবু কি ভুলতে বসেছি স্বাধীনতার ইতিকথা?
 (সংগৃহীত)
Rabiul Islam Robi
B.S.S Hons. Political Science 
facebook.com/rabiul.robi.5891
Cell: 01682798330
 
Pls Join Us: কোনটে বাহে জাগো
www.facebook.com/kontebahejago

আমি চিৎকার করে কাঁদিতে চাহিয়া করিতে পারিনি চিৎকার

কথাঃ হায়দার হোসেন
সুরঃ হায়দার হোসেন

---------------------------------------------------------------------------------------------------------



কতটুকু অশ্রু গড়ালে হৃদয় জলে সিক্ত,
কত প্রদীপ শিখা জ্বালালেই জীবন আলোয় ত্রিপ্ত।
কত ব্যথা বুকে চাপালেই তাকে বলি আমি ধৈর্য,
নির্মমতা কতদূর হলে জাতি হবে নির্লজ্জ।
আমি চিৎকার করে কাঁদিতে চাহিয়া করিতে পারিনি চিৎকার||
বুকের ব্যথা বুকে চাপায়ে নিজেকে দিয়েছি ধিক্কার
আজও কানে ভাসে সেই কথাগুলো কে জানে হবে যে শেষ কথা||
নিয়তির ডাকে দিলি যে সাড়া ফেলে গেলি শুধু নিরবতা
যার চলেযায় সেই বুঝে হায় বিচ্ছেদে কি যন্ত্রণা||
অবুঝ শিশুর অবুঝ প্রশ্ন কি দিয়া দেব সান্তনা ।
আমি চিৎকার করে কাঁদিতে চাহিয়া করিতে পারিনি চিৎকার||
বুকের ব্যথা বুকে চাপায়ে নিজেকে দিয়েছি ধিক্কার।
বিধাতা তরে ডাকি বারেবারে করুন মোরে মার্জনা||
দুঃখ সহিতে দিন শক্তি আপনার সকাসে প্রার্থণা
চাহিনা সহিতে আমার মাটিতে মজলুমের আর্তনাদ||
বিষাদ অনলে পুড়ে বারেবারে লুন্ঠিত হবে স্বপ্নস্বাদ
আমি চিৎকার করে কাঁদিতে চাহিয়া করিতে পারিনি চিৎকার||
বুকের ব্যথা বুকে চাপায়ে নিজেকে দিয়েছি ধিক্কার।
কতটুকু অশ্রু গড়ালে হৃদয় জলে সিক্ত,
কত প্রদীপ শিখা জ্বালালেই জীবন আলোয় ত্রিপ্ত।
কত ব্যথা বুকে চাপালেই তাকে বলি আমি ধৈর্য,
নির্মমতা কতদূর হলে জাতি হবে নির্লজ্জ।

(সংগৃহীত)

Rabiul Islam Robi
B.S.S Hons. Political Science 
facebook.com/rabiul.robi.5891
Cell: 01682798330
 
Pls Join Us: কোনটে বাহে জাগো
www.facebook.com/kontebahejago

সোমবার, ২৭ এপ্রিল, ২০১৫

নীলফামারীর জলঢাকা-কালিগঞ্জে গণহত্যা দিবস পালিত


নীলফামারীর জলঢাকায় আজ সোমবার পালিত হয়েছে কালীগঞ্জ গণহত্যা দিবস। ১৯৭১ সালের এই দিনে মুক্তিযুদ্ধকালে জলঢাকার অদূরে উপজেলার গোলনা ইউনিয়নের কালীগঞ্জে পাকিস্তানি বাহিনী নারকীয় হত্যাযজ্ঞ চালায়

ওই দিন নারী-পুরুষ নির্বিশেষে প্রায় তিন শতাধিক লোকের একটি দল নিরাপদ আশ্রয়ের জন্য ভারতের উদ্দেশ্যে রওনা দেয়। ওই সংবাদ স্থানীয় দোসররা পাকবাহিনীকে জানিয়ে দেয়। এ সময় ডোমার থেকে আসা চারটি সামরিক কনভয় তাদের কালীগঞ্জে ঘেরাও করে প্রথমে তরুণদের একত্রিত করে রাইফেলের বাটের আঘাতে রাস্তার উত্তরপাশে এনে গর্তের পাশে দাঁড় করিয়ে মেশিনগানের গুলিতে নির্বিচারে হত্যা করে। পরে রাস্তার দক্ষিণ পাশে পানি উন্নয়ন বোর্ডের বর্তমান তিস্তা সেচ ক্যানেলে বয়স্ক পুরুষদের হত্যা করে। ওই সময় নারী ও শিশুদের চিৎকারে এলাকাটি প্রকম্পিত হয়ে ওঠে।

সেই দিনের ভয়াবহ চিত্রের বর্ণনা দিতে গিয়ে আবেগাপ্লুত হয়ে ওঠেন  বেঁচে যাওয়া অমরকৃষ্ণ অধিকারী। তিনি বলেন, গুলিবিদ্ধ অনেকে দৌড়ে পালিয়ে গিয়ে প্রাণে রক্ষা পান। তাদের মধ্যে দিলীপ কুমার, বিনয়কৃষ্ণ অধিকারী এখনও সেই বিভীষিকাময় স্মৃতি নিয়ে বেঁচে আছেন ইতিহাসের সাক্ষী হয়ে। মৃতদের মধ্যে প্রায় ৭৮ জনের নাম পাওয়া যায়। যা বর্তমানে বধ্যভূমির গায়ে লেখা রয়েছে। এসব পরিবারের জীবিত সদস্যদের সঙ্গে সেইদিনের দুঃসহ স্মৃতি নিয়ে কথা বললে এখনও তাদের চোখ ছলছল করে উঠে। শহীদ পরিবারগুলি এখনও পায়নি রাষ্ট্রীয় কোনো সম্মান। যা তাদের স্বজন হারানো বেদনাকে আরও দ্বিগুণ করে দেয়।

জলঢাকার গণহত্যা দিবসে এখন শহীদ পরিবারগুলোর দাবি জীবদ্দশায় তাদেরকে রাষ্ট্রীয় সম্মান দেওয়া হোক। এদিকে, দিবসটি স্মরণে আজ সোমবার সকালে  উপজেলা প্রশাসনের পক্ষ থেকে শহীদদের স্মৃতির প্রতি শ্রদ্ধা নিবেদন করেন উপজেলা নির্বাহী কর্মকর্তা হাসান হাবিব ও উপজেলা মুক্তিযোদ্ধা কমান্ডার হামিদুর রহমান।




Rabiul Islam Robi
B.S.S Hons. Political Science 
facebook.com/rabiul.robi.5891
Cell: 01682798330
 
Pls Join Us: কোনটে বাহে জাগো
www.facebook.com/kontebahejago


নীলফামারীর জলঢাকায় আজ সোমবার পালিত হয়েছে কালীগঞ্জ গণহত্যা দিবস। ১৯৭১ সালের এই দিনে মুক্তিযুদ্ধকালে জলঢাকার অদূরে উপজেলার গোলনা ইউনিয়নের কালীগঞ্জে পাকিস্তানি বাহিনী নারকীয় হত্যাযজ্ঞ চালায়।

ওই দিন নারী-পুরুষ নির্বিশেষে প্রায় তিন শতাধিক লোকের একটি দল নিরাপদ আশ্রয়ের জন্য ভারতের উদ্দেশ্যে রওনা দেয়। ওই সংবাদ স্থানীয় দোসররা পাকবাহিনীকে জানিয়ে দেয়। এ সময় ডোমার থেকে আসা চারটি সামরিক কনভয় তাদের কালীগঞ্জে ঘেরাও করে প্রথমে তরুণদের একত্রিত করে রাইফেলের বাটের আঘাতে রাস্তার উত্তরপাশে এনে গর্তের পাশে দাঁড় করিয়ে মেশিনগানের গুলিতে নির্বিচারে হত্যা করে। পরে রাস্তার দক্ষিণ পাশে পানি উন্নয়ন বোর্ডের বর্তমান তিস্তা সেচ ক্যানেলে বয়স্ক পুরুষদের হত্যা করে। ওই সময় নারী ও শিশুদের চিৎকারে এলাকাটি প্রকম্পিত হয়ে ওঠে।

সেই দিনের ভয়াবহ চিত্রের বর্ণনা দিতে গিয়ে আবেগাপ্লুত হয়ে ওঠেন  বেঁচে যাওয়া অমরকৃষ্ণ অধিকারী। তিনি বলেন, গুলিবিদ্ধ অনেকে দৌড়ে পালিয়ে গিয়ে প্রাণে রক্ষা পান। তাদের মধ্যে দিলীপ কুমার, বিনয়কৃষ্ণ অধিকারী এখনও সেই বিভীষিকাময় স্মৃতি নিয়ে বেঁচে আছেন ইতিহাসের সাক্ষী হয়ে। মৃতদের মধ্যে প্রায় ৭৮ জনের নাম পাওয়া যায়। যা বর্তমানে বধ্যভূমির গায়ে লেখা রয়েছে। এসব পরিবারের জীবিত সদস্যদের সঙ্গে সেইদিনের দুঃসহ স্মৃতি নিয়ে কথা বললে এখনও তাদের চোখ ছলছল করে উঠে। শহীদ পরিবারগুলি এখনও পায়নি রাষ্ট্রীয় কোনো সম্মান। যা তাদের স্বজন হারানো বেদনাকে আরও দ্বিগুণ করে দেয়।

জলঢাকার গণহত্যা দিবসে এখন শহীদ পরিবারগুলোর দাবি জীবদ্দশায় তাদেরকে রাষ্ট্রীয় সম্মান দেওয়া হোক। এদিকে, দিবসটি স্মরণে আজ সোমবার সকালে  উপজেলা প্রশাসনের পক্ষ থেকে শহীদদের স্মৃতির প্রতি শ্রদ্ধা নিবেদন করেন উপজেলা নির্বাহী কর্মকর্তা হাসান হাবিব ও উপজেলা মুক্তিযোদ্ধা কমান্ডার হামিদুর রহমান। - See more at: http://www.kalerkantho.com/online/country-news/2015/04/27/215344#sthash.eYpRYv3Y.9qWPDlAO.dpuf
নীলফামারীর জলঢাকায় আজ সোমবার পালিত হয়েছে কালীগঞ্জ গণহত্যা দিবস। ১৯৭১ সালের এই দিনে মুক্তিযুদ্ধকালে জলঢাকার অদূরে উপজেলার গোলনা ইউনিয়নের কালীগঞ্জে পাকিস্তানি বাহিনী নারকীয় হত্যাযজ্ঞ চালায়।

ওই দিন নারী-পুরুষ নির্বিশেষে প্রায় তিন শতাধিক লোকের একটি দল নিরাপদ আশ্রয়ের জন্য ভারতের উদ্দেশ্যে রওনা দেয়। ওই সংবাদ স্থানীয় দোসররা পাকবাহিনীকে জানিয়ে দেয়। এ সময় ডোমার থেকে আসা চারটি সামরিক কনভয় তাদের কালীগঞ্জে ঘেরাও করে প্রথমে তরুণদের একত্রিত করে রাইফেলের বাটের আঘাতে রাস্তার উত্তরপাশে এনে গর্তের পাশে দাঁড় করিয়ে মেশিনগানের গুলিতে নির্বিচারে হত্যা করে। পরে রাস্তার দক্ষিণ পাশে পানি উন্নয়ন বোর্ডের বর্তমান তিস্তা সেচ ক্যানেলে বয়স্ক পুরুষদের হত্যা করে। ওই সময় নারী ও শিশুদের চিৎকারে এলাকাটি প্রকম্পিত হয়ে ওঠে।

সেই দিনের ভয়াবহ চিত্রের বর্ণনা দিতে গিয়ে আবেগাপ্লুত হয়ে ওঠেন  বেঁচে যাওয়া অমরকৃষ্ণ অধিকারী। তিনি বলেন, গুলিবিদ্ধ অনেকে দৌড়ে পালিয়ে গিয়ে প্রাণে রক্ষা পান। তাদের মধ্যে দিলীপ কুমার, বিনয়কৃষ্ণ অধিকারী এখনও সেই বিভীষিকাময় স্মৃতি নিয়ে বেঁচে আছেন ইতিহাসের সাক্ষী হয়ে। মৃতদের মধ্যে প্রায় ৭৮ জনের নাম পাওয়া যায়। যা বর্তমানে বধ্যভূমির গায়ে লেখা রয়েছে। এসব পরিবারের জীবিত সদস্যদের সঙ্গে সেইদিনের দুঃসহ স্মৃতি নিয়ে কথা বললে এখনও তাদের চোখ ছলছল করে উঠে। শহীদ পরিবারগুলি এখনও পায়নি রাষ্ট্রীয় কোনো সম্মান। যা তাদের স্বজন হারানো বেদনাকে আরও দ্বিগুণ করে দেয়।

জলঢাকার গণহত্যা দিবসে এখন শহীদ পরিবারগুলোর দাবি জীবদ্দশায় তাদেরকে রাষ্ট্রীয় সম্মান দেওয়া হোক। এদিকে, দিবসটি স্মরণে আজ সোমবার সকালে  উপজেলা প্রশাসনের পক্ষ থেকে শহীদদের স্মৃতির প্রতি শ্রদ্ধা নিবেদন করেন উপজেলা নির্বাহী কর্মকর্তা হাসান হাবিব ও উপজেলা মুক্তিযোদ্ধা কমান্ডার হামিদুর রহমান। - See more at: http://www.kalerkantho.com/online/country-news/2015/04/27/215344#sthash.eYpRYv3Y.9qWPDlAO.dpuf