........................................................................................................................
বুঝতে পারছেন কোন
গাছের কথা বলছি। হ্যাঁ শিমুল গাছের কথাই বলছি। বিলীন হতে চলেছে
চিরচেনা শিমুল গাছ। শিমুলের উদ্ভিদতাত্ত্বিক নাম সালমালিয়া মালাবারিকা, গোত্র বোমবাকাসি। একসময় চিরচেনা এ গাছটি রংপুরের বদরগঞ্জসহ
দেশের সর্বত্রই দেখা মিলত। এখন আর সচরাচর তা চোখেই পড়ে না। শিমুলের ডগডগে লাল ফুল
জানান দেয় ফাল্গুনের অগ্নিঝরা দিনের বার্র্তা। গত এক যুগ আগেও বাড়ির আনাচে-কানাচে
শিমুল গাছ চোখে পড়ত। বর্তমানে এ যেন সুদূর অতীত।
বর্তমানে ব্যক্তিগত কিংবা
নার্সারিগুলোতেও বন্ধ হয়ে গেছে শিমুলের চারা উৎপাদন, তারপরও প্রাকৃতিকভাবে আপনা আপনি জন্মানো শিমুল গাছকে এক
শ্রেণির মানুষ কেটে সাবাড় করে ফেলছে। শিমুলের তুলা দিয়ে আরামদায়ক লেপ-তোষক তৈরি
করা যায়। এখন ইটের ভাটায় অবাধে শিমুল কাঠ ব্যবহার হচ্ছে। শিমুল কাঠ ইটের ফর্মা
তৈরিতেও ব্যবহার হচ্ছে। নির্মাণাধীন কোনো ভবনের ঢালাইয়ের সহযোগী হিসেবে শিমুল কাঠ ব্যাবহার হচ্ছে।
দিয়াশলাইয়ের কাঠি তৈরিতেও এর ব্যবহার আছে। এখন মূল বিষয় হলো, চারা উৎপাদন না করে শিমুল গাছ কেটে ফেলায় পরিবেশ একদিকে
যেমন ভারসাম্য হারিয়ে ফেলছে, অন্যদিকে বিলীন
হয়ে যাচ্ছে শিমুল গাছ। অতি দ্রুত সরকারি কিংবা বেসরকারি উদ্যোগে শিমুলের চারা
উৎপাদন, গাছ রোপণ এবং সংরক্ষণ
জরুরি হয়ে পড়েছে। তা না হলে ভবিষ্যৎ প্রজন্ম শিমুল গাছ নামে যে কোনো গাছ ছিল তা
জানতেই পারবে না। আসুন
প্রত্যেকেই একটি করে শিমুল গাছ রোপণ করি।
.
.
Rabiul Islam Robi
B.S.S Hons. Political Science
facebook.com/rabiul.robi.5891
Cell: 01682798330
Cell: 01682798330
Pls Join Us: কোনটে বাহে জাগো
www.facebook.com/kontebahejago
কোন মন্তব্য নেই:
একটি মন্তব্য পোস্ট করুন