আমাদের
জাতীয় কবি কাজী নজরুল ইসলামের আজ ১১৬তম জন্মবার্ষিকী । কবি নজরুলের জন্ম ১৩০৬ বঙ্গাব্দের ১১ই
জ্যৈষ্ঠ,১৮৯৯ সালের ২৫শে মে পশ্চিমবঙ্গের বর্ধমান জেলায় চুরুলিয়া
গ্রামে। কঠিন জীবন সংগ্রামের মধ্য দিয়ে নজরুল বেড়ে ওঠেন। কোন কিছুই দমাতে পারেনি তাকে। তিনি
তার কলম দিয়ে সংগ্রাম করে গেছেন। তিনি লেখেন তার বিখ্যাত কবিতা ‘বিদ্রোহী’। ১৯১২ সালের ৬ই জানুয়ারি কবিতাটি ‘বিজলী’ পত্রিকায় প্রকাশ হওয়ার পর সাড়া পড়ে যায় সর্বস্তরে। তার এই কবিতা দেশ ও কালের সীমা ছাড়িয়ে হয়ে
ওঠে মানবতার মুক্তির কল্যাণের এক অমোঘ ঘোষণা। তিনি শুধু বিদ্রোহের কবি নন,প্রেমের কবি, সাম্য ও মানবতাবাদের কবি, নবজাগরণ,তারুণ্য,সত্য আর সুন্দরের কবি, তিনি আমাদের জাতীয় কবি। গানে, নাটকে, কবিতায়, গদ্যে সব শাখায় তিনি আমাদের জন্য নিরলস ভাবে লিখে গেছেন। বাংলাদেশের স্বাধীনতা সংগ্রামে তার লেখা কবিতা ও গান
প্রেরণা যুগিয়েছে।
১৯৪২
সালের ৯ই জুলাই কলকাতা বেতারে ‘রবিহারা’ কবিতাটি আবৃত্তি করতে গিয়ে
তিনি অসুস্থ হয়ে পড়েন। হয়ে যান বাকরুদ্ধ। পরে দেশ স্বাধীন হওয়ার পর অসুস্থ কবিকে
ঢাকায় নিয়ে আসেন বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিবুর রহমান। সে সময় তাকে রাষ্ট্রীয় মর্যাদায়
ঢাকায় থাকার ব্যবস্থা ও বাংলাদেশের নাগরিকত্ব দেয়া হয়। প্রেসিডেন্ট জিয়াউর রহমানের
সময়ে কবিকে দেয়া হয় একুশে পদক। পরে প্রেসিডেন্ট এরশাদের সময় কাজী নজরুল ইসলামকে
জাতীয় কবির মর্যাদা দেয়া হয়।
১৯৭৬
সালে কবির স্বাস্থ্যের অবনতি হতে শুরু করে। ওই বছরের ২৯ আগস্ট বঙ্গবন্ধু মেডিকেল
বিশ্ববিদ্যালয়ে (তৎকালীন পিজি হাসপাতালে) চিকিৎসাধীন অবস্থায় তিনি ইন্তেকাল করেন।
তিনি তার কবিতাতেই বলে গিয়েছিলেন- 'মসজিদেরই পাশে আমায় কবর
দিয়ো ভাই, যেন গোরের থেকে মুয়াজ্জিনের আযান শুনতে পাই'। আর তাই এ ইচ্ছার বাস্তব প্রতিফলন ঘটিয়ে তাকে সমাহিত করা হয় ঢাকা
বিশ্ববিদ্যালয় কেন্দ্রীয় জামে মসজিদের পাশে।
আল্লাহ
ওনাকে জান্নাতবাসী করুন।
Rabiul Islam Robi
facebook.com/rabiul.robi.5891