রংপুর জেলা পরিচিতি
বাংলাদেশের উত্তরাঞ্চলের একটি ভৌগোলিক ও ঐতিহাসিকভাবে
জনপদ রংপুরের রয়েছে অনেক কীর্তিময় গৌরবগাঁথা । রংপুর জেলার উত্তর-পশ্চিমে
নীলফামারী, উত্তর-পূর্বে
লালমনিরহাট, পূর্বে কুড়িগ্রাম, দক্ষিণ-পূর্বে
গাইবান্ধা এবং দক্ষিণ-পশ্চিমে দিনাজপুর জেলা অবস্থিত ।
বর্তমান রংপুর জেলার মোট আয়তন ২৩৬৭.৮৪ বর্গ কিলোমিটার । আটটি
উপজেলা, ৮৩টি ইউনিয়ন, ১২১৪টি
মৌজা এবং ৩টি পৌরসভা (রংপুর, হারাগাছ এবং বদরগঞ্জ) নিয়ে
রংপুর জেলা গঠিত । রংপুর শহরের আয়তন ৪৩ বর্গ কিলোমিটার ।
বৃহত্তর রংপুর দিয়ে প্রবাহিত হয়েছে তিস্তা, ব্রহ্মপুত্র, যমুনা, ধরলা,
ঘাঘট, করতোয়া, দুধকুমার,
মানাস, বাঙালি, সংকোশ, আখিরা, গজাড়িয়া,
টেপা প্রভৃতি নদ-নদী ।
রংপুর জেলা ১৭৭২ খ্রিষ্টাব্দে প্রতিষ্ঠিত হয় । বৃটিশ
শাসনের সূচনায় আনুমানিক ২৫০০ বর্গ মাইল এলাকা নিয়ে রংপুর বিস্তৃত হলেও ১৮১৬ সালে
রংপুর জেলা সবচেয়ে বৃহদাকার ধারণ করে ৭৪০০ বর্গ মাইল নিয়ে বিস্তৃত হয় । পরবর্তীতে
প্রশাসনিক পরিবর্তন এবং নূতন জেলা সৃষ্টির (বগুড়া, জলপাইগুড়ি)
ফলে রংপুর জেলার আয়তন হ্রাস পেতে থাকে । ১৮৬৯ খ্রিষ্টাব্দে পাটগ্রাম, বোদা, ফকিরগঞ্জ, সন্ন্যাসীকাটা
রংপুর থেকে বিচ্ছিন্ন হয়ে নূতন জেলা জলপাইগুড়ির সৃষ্টি হয় । দেওয়ানগঞ্জ ময়মনসিংহ
এবং ধুবড়ী ও রাঙ্গামাটি বৃহত্তর আসামের অন্তর্ভূক্ত হয় । ১৮৬৯ খ্রিষ্টাব্দে রংপুর জেলার আয়তন
৩৭৮৮ বর্গমাইলে নেমে আসে । ১৯৮৪ খ্রিষ্টাব্দের ১ ফেব্রুয়ারী রংপুর জেলার চারটি
মহকুমা কুড়িগ্রাম, নীলফামারী, লালমনিরহাট,
গাইবান্ধা পৃথক পৃথক জেলায় রুপান্তরিত হয় । প্রসঙ্গতঃ উল্লেখ্য
১৯৪৭ খ্রিষ্টাব্দে পাটগ্রাম রংপুরে এবং বোদা দিনাজপুরের অন্তর্ভূক্ত হয় ।
রংপুরের মাটিতে জন্ম নিয়েছেন নূরুল উদ্দিন, দেবী চৌধুরানী, ভবানী পাঠক, শিবচন্দ্র রায়, ওয়ালিদাদ খান, বেগম রোকেয়া প্রমুখ । রংপুরের মাটিতেই শায়িত আছেন মৌলানা কেরামত আলী
(রাঃ), শাহ জালাল উদ্দিন জাহাগাশত বোখারী (রাঃ)
সহ অসংখ্য পীর আউলিয়া । রংপুর জেলার ইতিহাস জানতে হলে পড়ুন জেলা প্রশাসন কতৃক
প্রকাশিত রংপুর
জেলার ইতিহাস বইটি ।
Rabiul Islam Robi
B.S.S Hons. Political Science
facebook.com/rabiul.robi.5891
কোন মন্তব্য নেই:
একটি মন্তব্য পোস্ট করুন